লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ী ইউনিয়নে এ বিয়ের দাবিতে বৃষ্টি আর ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে প্রেমিক মোঃ মিজানুর রহমান (৩০) বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক প্রেমিকা (২৩)।
১৯/০৪/২৪ইং বুধবার রাত থেকে আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ী ইউনিয়নের সাং- বড় কমলাবাড়ী ৮নং ওয়ার্ড এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, দীর্ঘ দিন যাবত প্রেম ছিলো মেয়ের বিয়ে পারিবারিক ভাবে অন্য জায়গায় দিলে ও পরে মেয়েকে ডিভোর্স করাইতে বাধ্য করায়। তাদের মধ্যে মিজানুর রহমান (৩০) প্রেমিক এ নিয়ে বুধবার বিকালে এলাকায় জনসাধারণের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রেমিক মিজানুর রহমান এর বাড়িতে ভিড় জমান এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত থেকে শাখা মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান প্রেমিক এর উঠানে মোছাঃ নাসরিন সুলতানা সাদিয়া (২৩) বাড়িতে কমলাবাড়ী ইউনিয়নের এক তরুণী বিয়ের দাবিতে অনশন করছে। এর আগেও ১ বার একই দাবিতে ছেলের বাড়িতে গিয়ে ওঠে মেয়েটি।
সেই সময় ছেলের অভিভাবকরা বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটিকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে ছেলের পরিবারে তাঁরা সবাই পলাতক নেই বলে প্রতিবেশীরা জানান।
প্রেমিকা বলেন, সারে ৪বছর বছর আগে থেকেই মিজানুর রহমান সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পারিবারিকভাবে আমার বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হলেও মিজানুর রহমান আমাকে বিয়ে না করার জন্য চাপ দিত। ও আমাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। গত কয়েক মাস আগে আমার সঙ্গে মিজানুর যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, মিজানুর ৪মাসের নতুন প্রেমিকা সাবিনা আক্তার ইরা (২৪) কে বিয়ে করছে। মিজানুরের পরিবার সেখানেই তার বিয়ের ব্যবস্থা করেছে।
আমার দাবি, মিজানুর তার পরিবারের লোকজন বিয়ের বিষয়টির সুরাহা দিতে হবে। তা না করা পর্যন্ত আমার অনশন চলবে বলে জানান প্রেমিকা।
এ বিষয়ে কমলাবাড়ী ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য বলেন, আমি বর্তমানে এলাকার বাইরে আছি। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, যাতে উভয় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থানীয়ভাবে বিষয়টির মীমাংসার করে দেয়া হয়। বর্তমানে যা মীমাংসার টি সাবেক চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন এর জন্য হচ্ছে না।
এ বিষয় আদিতমারী থানায় মেয়েরা মা মোছাঃ হাফিজা বেগম একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, বিষয় টি আমি জানি স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধান করতে চেয়েছেন যদি না হয় আমরা তাহলে মামলা দায়ের করা হবে।